Posts

অন্তরতর শান্তি

Image
পাশ্চাত্যে শান্তির ধারণা সাধারণত যুদ্ধবিহীন অবস্থার সঙ্গে যুক্ত। শান্তির প্রতীক ‘শ্বেত কপোত’ও জনপ্রিয় হয়েছে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে। কিন্তু আমরা যখন শান্তির কথা বলি , আসলে কী বুঝি ? কেউ যদি জিজ্ঞেস করে , আপনি কি আজ শান্তিতে আছেন ? — উত্তর কী হবে ? আপনার পরিবার , প্রতিবেশী বা সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক কি শান্তিপূর্ণ ? শান্তির একটি সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞার অভাব রয়েছে। এই কারণেই নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হয়। সাধারণত অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ , নিরস্ত্রীকরণ , যুদ্ধের অবসান ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গঠনে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে এটি নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক পুরস্কার , যার প্রাপক নির্বাচনের মাধ্যমেই এর অন্তর্নিহিত রাজনীতি স্পষ্ট হয় । একটি সংজ্ঞা অনুসারে , শান্তি হল মানুষের প্রকৃতি , পরিবেশ ও বিশ্বজগতের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের অবস্থা। যখন সমাজে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে এবং ভয় ও হিংসা দূর হয় , তখনই প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রাচ্যের দর্শনে শান্তি কেবল যুদ্ধের অনুপস্থিতি নয় — সেখানে শান্তি এক জীবনযাপন পদ্ধতি । যেমন , বৌদ্ধ দর্শনে অহিংসা ও অষ্টমার্গের চর্চার মাধ্যমে অ...

আকাশ-পৃথিবীর বিরহ

Image
আকাশ আর পৃথিবীর সম্পর্কটি প্রণয়ের , আবার চিরবিরহের। এ সম্পর্কের উল্লেখ পাওয়া যায় বিভিন্ন দেশের প্রাচীন পুরাণকাহিনিতে। অধিকাংশ পুরাণে আকাশ পুরুষ এবং পৃথিবী নারী হিসেবে কল্পিত হয়েছে। ভারতীয় পুরাণ অনুসারে , পৃথু নামে এক রাজা ছিলেন , যিনি প্রথম সত্যিকারের রাজা হিসেবে পরিচিত। তিনি পৃথিবীর ভূমিকে সমতল করেছিলেন। অথর্ববেদে বলা হয়েছে , পৃথু লাঙ্গল দিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন এবং কৃষির আবিষ্কার তাঁরই কৃতিত্ব। পৃথুর স্ত্রীর নাম পৃথ্বী। এখান থেকেই আমাদের গ্রহের নাম হয়েছে ‘ পৃথিবী ’, যা নারীরূপে কল্পিত। তবে মিশরীয় পুরাণে এর ঠিক উল্টো। সেখানে আকাশ নারী এবং পৃথিবী পুরুষ। মিশরীয় পুরাণ অনুসারে , পৃথিবী সৃষ্টির পর ঈশ্বর পৃথিবীকে রক্ষার জন্য কয়েকজন দেব-দেবী প্রেরণ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আকাশের দেবী নুট , পৃথিবীর দেবতা জেব এবং বায়ুদেবতা শু। নুট - জেব - শু নুট প্রথমে ছিলেন রাতের আকাশের দেবী , কারণ  তখনও  সূর্যের জন্ম হয়নি , ফলে দিনও ছিল না। সূর্যের জন্মের পর নুট পুরো আকাশের দায়িত্ব পান। নুট শব্দের অর্থ ‘ রাত্রি ’ । ধারণা করা হয় , এখান থেকেই ইংরেজি শব্দ ‘ নাইট ’ এসেছে। নুটের গায়ের রঙ ছিল নীল , আর ত...

একটি রেখা না মুছে ছোট করা

Image
মোগল সম্রাট আকবরের রাজসভায় ছিলেন নয়জন মেধাবী উপদেষ্টা , যাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীরবল। তাঁর সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও রসবোধের জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। সম্রাট আকবর প্রায়ই মজা করে বীরবলের বুদ্ধির পরীক্ষা নিতেন এবং কখনও কখনও তাঁকে বোকা বানানোর চেষ্টা করতেন । একদিন সম্রাট বীরবলকে মাটিতে একটি সরল রেখা আঁকতে বললেন। বীরবল নির্ধারিত রেখাটি এঁকে দিলেন। এরপর সম্রাট নির্দেশ দিলেন , রেখাটি ছোট করতে হবে , তবে কোনও অংশ মোছা যাবে না । প্রথম দেখায় কাজটি অসম্ভব মনে হচ্ছিল। উপস্থিত সবাই ভাবলেন , এবার বীরবল নিশ্চয়ই পরাজিত হবেন। কিন্তু বীরবল কিছুক্ষণের মধ্যেই এমন এক সমাধান বের করলেন , যা দেখে সবাই বিস্মিত হয়ে গেলেন। তিনি রেখার পাশে আরও বড় একটি রেখা এঁকে দিলেন , যা আগের রেখাটিকে আপনা থেকেই ছোট দেখাতে শুরু করল । সম্রাট আকবর বীরবলের বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হলেন । গল্পের শিক্ষণীয় দিক: এই গল্প আমাদের শেখায় যে , প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চাইলে অন্যের ক্ষতি বা হেয় না করে নিজের সামর্থ্য ও দক্ষতাকে উন্নত করা প্রয়োজন। নিজের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে তুললে প্রতিদ্বন্দ্বী আপনা থেকেই দুর্বল হয়ে যাবে । বর্তমান প্রাসঙ্...

মোনালিসা ইফেক্ট: চোখের মায়া

Image
টেলিভিশনের সামনে বসে খবর শুনছিলাম। হঠাৎ মনে হল , সংবাদপাঠিকা যেন একদৃষ্টে আমার দিকেই তাকিয়ে খবর পড়ছেন। পরীক্ষা করার জন্য আমি একবার বাঁ দিকে সরে গেলাম , তারপর ডান দিকে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম , তার দৃষ্টি যেন আমার দিকে লেগেই আছে। এমন অনুভূতি তৈরি হল , যেন তিনি আমার প্রতিটি নড়াচড়া অনুসরণ করছেন । প্রথমে মনে হল , হয়তো এটি কোনও প্রযুক্তিগত কৌশল বা বিশেষ নজরদারি পদ্ধতির অংশ। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম , এটি আসলে এক ধরনের অপটিক্যাল ইলুশন বা দৃষ্টিভ্রম , যা ‘ মোনালিসা ইফেক্ট’ নামে পরিচিত । মোনালিসা ইফেক্ট কী ? মোনালিসা ইফেক্ট হল এমন এক দৃষ্টিভ্রম যেখানে মনে হয় কোনও চিত্র , বিশেষত মানুষের ছবি , সরাসরি আপনার দিকেই তাকিয়ে আছে , তা আপনি ছবির সামনে , পাশে বা কোণ থেকেও দেখুন না কেন। এই ইফেক্টের নামকরণ হয়েছে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসা থেকে। ঐতিহাসিকভাবে লক্ষ করা গেছে , মোনালিসার চোখে এমন এক চিত্রকৌশল রয়েছে , যা দেখে মনে হয় তিনি দর্শকের দিকে সরাসরি তাকিয়ে আছেন , দর্শক যে দিকেই থাকুন না কেন । কীভাবে এটি কাজ করে ? মোনালিসা ইফেক্ট তৈরির জন্য ছবি আঁকার সময় চোখের মণি এমনভাব...

কুই বোনো: কার সুবিধা হল ?

অপরাধমূলক কোনও ঘটনা সংঘটিত হলে মানুষ জানতে চায় — ঘটনার মোটিভ কী ? কে ঘটিয়েছে ? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথমেই যে কাজটি প্রয়োজন , তা হল নিজেকে প্রশ্ন করা — cui bono? অর্থাৎ , এতে কার সুবিধা হল ? ‘ কুই বোনো’ একটি ল্যাটিন শব্দগুচ্ছ , যার ইংরেজি অর্থ ‘Who benefits?’ বা ‘ কার লাভ হল ?’ । এটি অপরাধ তদন্ত এবং বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত , যে পক্ষ যত বেশি লাভবান হয় , ঘটনার জন্য তাদের দায়ী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে। এভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় । খ্রিস্টপূর্ব ১২৫ সালে রোমান রাজনীতিবিদ ও প্রসিকিউটর লুসিয়াস ক্যাসিয়াস ‘ কুই বোনো’ তত্ত্বকে একটি আইনি নীতিমালা হিসেবে প্রবর্তন করেন। এই তত্ত্বের ভিত্তি হল — অপরাধ সাধারণত অপরাধীর সুবিধার জন্য সংঘটিত হয়। কোনও ঘটনা ঘটার পর যাদেরকে সুবিধাজনক অবস্থানে দেখা যায় বা যাদের লাভবান হতে দেখা যায় , তারাই সন্দেহের তালিকায় প্রথমে থাকে । ‘ কুই বোনো ’ নীতির প্রয়োগ অপরাধের মোটিভ বোঝা এবং সম্ভাব্য অপরাধীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে এক কার্যকরী হাতিয়ার। 

ফ্যাসিবাদ — এক সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী মতবাদ

ফ্যাসিবাদ হল এমন এক সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী রাজনৈতিক মতবাদ , যা সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্ত বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোনও বিরোধিতা সহ্য করে না। এটি সাধারণত কর্তৃত্ববাদ ও একনায়কতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্ত মতপ্রকাশের বিপক্ষে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে , ইতালিতে বেনিতো মুসোলিনি ফ্যাসিবাদের প্রবক্তা ছিলেন এবং পরবর্তীতে আডলফ হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি জার্মানিতে ফ্যাসিবাদ ভয়াবহ রূপ নেয়। ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি ‘ ফ্যাসিস্ট’ শব্দটি এসেছে " fascio" থেকে , যার অর্থ ইতালীয় ভাষায় "আঁটি"। প্রাচীন রোমে ‘ঐক্যের মাধ্যমে শক্তি’র প্রতীক হিসেবে গাছের সরু ডালের আঁটি ব্যবহৃত হত। এই সূত্র ধরেই বেনিতো মুসোলিনি ‘একতাই শক্তি’ বার্তা দিতে ফ্যাসিস্ট শব্দটি উদ্ভাবন করেন। তিনি 1921 সালে ন্যাশনাল ফ্যাসিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন , যা জাতীয় ঐক্যের কথা বলে এবং বিরোধীদের দমন করতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে। মুসোলিনি মূলত সমাজতন্ত্রীদের ঘৃণা করতেন এবং তাঁর ফ্যাসিবাদী সহিংসতার লক্ষ্য ছিল সমাজতন্ত্রীদের শাস্তি দেওয়া। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সমাজতন্ত্রীরা ইতালিকে সমর্থন করেনি , যা মুসোলিনির ক্রোধের...

দুর্গাপূজা কেন সর্বজনীন উত্‍সব

‘ শিশিরে শিশিরে শারদ আকাশে ভোরের আগমনী । সোনার আলোয় জাগবে পৃথিবী , বাজবে আলোর বাঁশি । আকাশ পটে মহামায়ার ভুবনমোহিনী হাসি ’ । এই ভুবনমোহিনী হাসির অন্তরালে রয়েছে দেবী দুর্গার মহিষাসুর বধের কাহিনী । পুরাণ অনুসারে , মহিষাসুর নামক অসুরের অত্যাচারে স্বর্গ , মর্ত্য এবং পাতাল — সব জগৎ কাঁপছিল । তখন ব্রহ্মা , বিষ্ণু ও মহেশ্বর তাঁদের শক্তি একত্রিত করে দেবী দুর্গাকে সৃষ্টি করেন । রণদেবী দুর্গা মহিষাসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাঁকে বধ করেন এবং শুভশক্তির প্রতিষ্ঠা করেন । দুর্গাপূজা সেই বিজয়কেই স্মরণ করে । ‘ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির যুদ্ধ ’ একটি সর্বজনীন এবং চিরন্তন বিষয় , যা প্রাচীন পুরাণ থেকে আধুনিক সমাজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে উঠে এসেছে । অর্থাত্‍ এই ধারণাটি শুধু ধর্মীয় ও পৌরাণিক কাহিনীতে সীমাবদ্ধ নয় , বরং এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতায়ও প্রাসঙ্গিক । আজকের সামাজিক , রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে ‘ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির যুদ্ধ ’ কে নতুনভাবে নির্ণয় করা যেতে পারে । যেমন , অন্যায় , দুর্নীতি , অত্যাচার এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে সম...

কে বাঙালি?

আজকাল রাজপথে স্লোগান ওঠছে — ‘তুমি কে ? আমি কে ? বাঙালি , বাঙালি!’ কেন এই স্লোগান ? আমরা সবাই কি বাঙালি নই ? আমাদের কেউ কেউ নিজেদের কি বাঙালি মনে করেন না ? ১৯৭২-এর সংবিধান অনুযায়ী — ‘বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালি এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন’ (প্রজাতন্ত্র > নাগরিকত্ব ৬ : ২ ) । এখানে বাংলাদেশ নামক নতুন দেশটির সকল বাসিন্দাকে বাঙালি বলা হয়েছে । চাকমা নেতা মানবেন্দ্র লারমা সংসদে এর প্রতিবাদ করে বলেছিলেন — ‘কোনও সংজ্ঞা বা যুক্তির অধীনে চাকমা বাঙালি হতে পারে না বা বাঙালি চাকমা হতে পারে না।’ সাধারণভাবে , ‘ যারা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে একটা বিশিষ্ট জীবনযাত্রা-প্রণালি , ভাষা ও সংস্কৃতি অনুসরণ করেন তাদের বাঙালি বলা হয় ’ । তবে বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাঙালি হয়ে যায় না । যেমন ইংরেজি ভাষায় কথা বললেই কেউ ইংরেজ হয়ে যায় না । বাঙালি হতে হলে বাঙালির জীবনযাত্রা-প্রণালি ও সংস্কৃতি অনুসরণ করতে হয় । সব কিছুর উপরে যে জিনিসটি অপরিহার্য তা হচ্ছে বাঙালির বিশেষ নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হওয়া । ‘ নৃতাত্ত্বিক জাতি বলতে আমরা এমন এক জনসমষ্টিকে বুঝি যাঁদের সকলের মধ্যেই জীন-কণা (...

জেনোসাইড ও গণহত্যা কি সমার্থক?

সংবাদ মাধ্যমে ‘জেনোসাইড’ এবং ‘গণহত্যা’ শব্দ দুটি প্রায়শ গুলিয়ে ফেলা হয় । যেন   গণহত্যা আর জেনোসাইড দুটি সমার্থক শব্দ। আসলেই কি তাই? দেখা যাক, শব্দ দুটির প্রকৃত অর্থ কী। ‘জেনোসাইড’ শব্দটির অফিসিয়াল সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়েছে জাতিসংঘের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ দ্বারা ১৯৪৮ সালে। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘genocide means any of the following acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group’ — অর্থাৎ, জেনোসাইড হল কোনও জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কিছু নির্দিষ্ট কর্ম। এই কর্মগুলো হলঃ ১) সেই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা; ২) সেই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা; ৩) জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার এমন অবস্থা সৃষ্টি করা যাতে তাদের শারীরিক ধ্বংস অনিবার্য হয়ে ওঠে; ৪) জনগোষ্ঠীতে জন্মগ্রহণ প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ৫) সেই জনগোষ্ঠীর শিশুদের জোরপূর্বক অন্য জনগোষ্ঠীতে স্থানান্তরিত করা।   এই পাঁচটি কাজের যে কোনও একটিকে জেনোসাইড হিসেবে গণ্য করা...